বৃহস্পতিবার, ০৫ Jun ২০২৫, ০৩:৫৮ অপরাহ্ন

প্রধান পৃষ্ঠপোষকঃ মোহাম্মদ রফিকুল আমীন
উপদেষ্টা সম্পাদকঃ জহির উদ্দিন স্বপন
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতিঃ এস. সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু
প্রধান সম্পাদকঃ লায়ন এস দিদার সরদার
সম্পাদকঃ কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদকঃ মাসুদ রানা পলাশ
সহকারী সম্পাদকঃ লায়ন এসএম জুলফিকার
সংবাদ শিরোনাম :
সংবাদ সম্মেলন করে কয়েকটি স্থানীয় পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালের বিরুধ্যে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের অভিযোগ আনলেন গৌরনদীর বিএনপি নেতা সজল সরকার স্বানাপ সিন্ডিকেটে বন্ধি জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতাল গৌরনদীতে বিএনপি’র গণঅবস্থান কর্মসূচি পালিত কোন অন্যায়কে প্রশ্রয় দেননি বলেই বেগম জিয়া ‘একজন আপোষহীন নেত্রী’-আবু নাসের মো: রহমাতুল্লাহ আন্তর্জাতিক সাংবাদিক আইনি প্রতিকার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এক জাঁকজমকপূর্ণ ইফতার দোয়া মাহফিল রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকান্ডে প্রশংসিত বরিশাল উত্তর জেলা নারী নেত্রী বাহাদুর সাজেদা বরিশালে সাংগঠনিক সফরে আসছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব ডা: মাহমুদা মিতু দুই দিনের সফরে আজ বরিশাল আসছেন অতিথি গ্রুপ অব কোম্পানির এমডি লায়ন সাইফুল ইসলাম সোহেল  পিরোজপুর ভান্ডারিয়ার যুব মহিলা লীগ নেত্রী জুথি গ্রেফতার গৌরনদীতে তিন দফা দাবি আদায়ে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল উপজেলা প্রশাসনকে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম
দুই বন্ধুর প্রয়াণ এক তারিখেই

দুই বন্ধুর প্রয়াণ এক তারিখেই

২৫.১১.২০২০ তারিখটি বিশ্ব ফুটবল প্রেমিদের কাছে স্মরণীয় থাকবে। যারা আর্জেন্টাইন ফুটবল ভালোবাসেন, তারা হয়ত কখনই ভুলবেন না এই তারিখটি- কারণ, এদিন পরপারে চলে গেছেন নান্দনিক ফুটবলের ঈশ্বর ডিয়েগো ম্যারাডোনা। জানেন কী… ২০১৬ সালের ঠিক একই তারিখে ইহলোক ছেড়ে পরলোকে চলে যান কিউবান সমাজতন্ত্রী বিপ্লবী নেতা ও প্রেসিডেন্ট ফিদেল ক্যাস্ত্রো। আর দুজনই ছিলেন একে অপরের পরম বন্ধু।

মূলত ম্যারাডোনার ‘দুঃসময়ের বন্ধু’ ছিলেন ফিদেল ক্যাস্ত্রো। ধীরে ধীরে দুজনের মধ্যে সম্পর্ক প্রগাঢ় হতে শুরু করে। ১৯৮৬ সালে প্রথমবার কিউবা গিয়েছিলেন ম্যারাডোনা। ক্যাস্ত্রোর সঙ্গে পরিচয় হয় তখনই। বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে ১০ নম্বর জার্সি উপহার দিয়েছিলেন ম্যারাডোনা।

ফুটবল থেকে অবসর নেওয়ার পর অতিরিক্ত মাদক সেবনে প্রচণ্ড স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েন ম্যারাডোনা। চারপাশ থেকে সবাইকে হারাতে হারাতে যখন তিনি কার্যত একা হয়ে পড়েন, তখন তার দিকে এগিয়ে আসেন ফিদেল ক্যাস্ত্রো। কিউবার ‘লা পেড্রেরা’ ক্লিনিকে ম্যারাডোনার রিহ্যাবের ব্যবস্থা করে দেন। সেখানেই সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন আর্জেন্টাইন এই কিংবদন্তি।

ম্যারাডোনা পরবর্তীতে লা নাসিওনকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে বলেছিলেন, ‘ও (কাস্ত্রো) সে সময় এগিয়ে না আসলে আমি বেঁচে থাকতে পারতাম না। আমার শরীর এতটাই খারাপ হয়ে গিয়েছিল।’ আর এ কারণেই নিজের বাহুতে ক্যাস্ত্রোর ছবি ট্যাটু করিয়েছিলেন তিনি।

চিকিৎসার জন্য ৪ বছর কিউবায় কাটিয়েছিলেন ম্যারাডোনা। এ সময় তাকে ফোন করতেন ক্যাস্ত্রো। খেলা, রাজনীতি, সমাজ ব্যবস্থাপনা- সব কিছু নিয়ে আলাপ করতেন তারা। নেশায় আসক্তি কাটিয়ে উঠতেও ম্যারাডোনাকে উৎসাহ তৎকালীন কিউবান সমাজতন্ত্রী বিপ্লবী নেতা ও প্রেসিডেন্ট। লা নাসিওনকে ম্যারাডোনা বলেছিলেন, ‘রাত ২টা, তিনটা কোনো ব্যাপার ছিল না। ও (কাস্ত্রো) আমাকে ফোন করতো। এটা কোনো ব্যাপার ছিল না আমার জন্য, আমি প্রস্তুত থাকতাম। কোনো ইভেন্ট থাকলে ও আমাকে বলত, যাবো কিনা। আমি কখনই এসব ভুলবো না।’

ক্যাস্ত্রোকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ম্যারাডোনার সঙ্গে আপনার বন্ধুত্ব কেমন ছিল? উত্তরে গ্রানমা মাররেরোকে কাস্ত্রো বলেছিলেন, ‘ডিয়েগো আমার গ্রেট ফ্রেন্ড। কোনো সন্দেহ নেই যে ও অসাধারণ এক অ্যাথলেট। আর কিউবার সঙ্গে ও (ম্যারাডোনা) কোনো পার্থিব লাভ ছাড়াই বন্ধুত্ব রেখে গেছে।

২০১৬ সালে ফিদেল কাস্ত্রো মারা যাওয়ার পর নিজের আবেগ থামাতে পারেননি ম্যারাডোনা, প্রচণ্ড কেঁদেছিলেন। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে ক্যাস্ত্রো সম্পর্কে তিনি বলেছিলেন, ও আমার কাছে আমার আরেকটা বাবার মতো ছিল। আর্জেন্টিনায় যখন আমার সব দরজা বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল, ও আমাকে কিউবায় জায়গা দিয়েছে। ফিদেল ক্যাস্ত্রোর মৃত্যুর পর জাতীয় শোকে যোগ দিতে কিউবা গিয়েছিলেন ম্যারাডোনা। এক শোকসভায় তিনি বলেছিলেন, ‘আমার বন্ধু ফিদেলকে বিদায় জানাচ্ছি। তবে আমি সব সময় কিউবার মানুষের পাশে থাকতে চাই।’

গতকাল বুধবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি ফুটবলার ডিয়েগো ম্যারাডোনা। তার বয়স হয়েছিল ৬০ বছর। এর আগে বেশ কয়েক দিন অসুস্থ ছিলেন তিনি। আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম ‘টিওয়াইসি স্পোর্টস’ জানায়, স্থানীয় সময় বুধবার হার্ট অ্যাটাকের শিকার হয়ে মারা যান তিনি। এ ছাড়া সংবাদমাধ্যম ‘ক্লারিন’ও ম্যারাডোনার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে। গত মাসে ম্যারাডোনার মস্তিস্কে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল।

আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আর্জেন্টিনার হয়ে তিনি ৯১ খেলায় ৩৪ গোল করেন। তিনি চারটি ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেন। যার মধ্যে ছিল ১৯৮৬ বিশ্বকাপ, যেখানে তিনি আর্জেন্টিনার অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন এবং দলকে বিশ্বকাপ জয়ে নেতৃত্ব দেন। প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড় হিসেবে স্বর্ণপদক জেতেন।

পেশাদার ক্যারিয়ারে ম্যারাডোনা আর্জেন্টিনা জুনিয়র্স, বোকা জুনিয়র্স, বার্সেলোনা, নাপোলি, সেভিয়া এবং নিওয়েলস ওল্ড বয়েজের হয়ে খেলেছেন। ম্যানেজার হিসেবে খুব কম অভিজ্ঞতাসম্পন্ন হওয়া সত্ত্বেও ২০০৮ সালের নভেম্বরে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয় ম্যারাডোনাকে। ২০১০ বিশ্বকাপের পর চুক্তি শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি আঠারো মাস এই দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৮৬ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে প্রায় একাই শিরোপা জেতানো ছাড়াও ইতালিয়ান ক্লাব নাপোলির হয়ে স্মরণীয় মৌসুম উপহার দিয়েছেন ম্যারাডোনা। নাপোলিকে দুবার সিরি ‘আ’ ও উয়েফা কাপ জিতিয়েছেন ম্যারাডোনা।

আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ম্যারাডোনার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে টুইট করেছে। তাতে লেখা হয়েছে, ‘আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্লদিও তাপিয়া আমাদের কিংবদন্তি ডিয়েগো আরমান্দো ম্যারাডোনার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছেন। আপনি সব সময় আমাদের হৃদয়ে থাকবেন।’

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017-2024 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com